Header Ads Widget

ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা


ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা


 জিয়াউল হক রচিত ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা

 নামক বইটি গার্ডিয়ান পাবলিকেশনের চমৎকার একটি পরিবেশনা।

সভ্যতা বিনির্মাণের মূল কারিগর মানুষ এবং মানুষকে নিয়েই সভ্যতার যাবতীয় কার্যক্রম। মানুষের মাধ্যমেই সভ্যতার ভাঙ্গা গড়া নির্ভর করে। মানুষের হাতে গড়া অনেকগুলো সভ্যতার ইতিহাস এই বইটিতে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ বিজয়ী সভ্যতা হওয়ার জন্য ইসলামী সভ্যতার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বজনীনতার স্থায়ীত্ব এই গ্রন্থে সুচারুভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বইটির মূলপয়েন্ট গুলো:


ইউরোপের গোড়া খ্রিস্টান ধর্মীয় শাসন

** ৩১২-১৩ সালে রোমান স্রামাজ্য শাসন করে লিসিনাস ও কন্সটান্টাইন

   ** ৫৮৭ সালে খ্রিস্টানদের পক্ষ হতে প্রচার করা হয় যে, নারী মানুষ বটে তবে তার সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হল পুরুষের সেবা করা
  ** ১২২৩ সালে নবম গ্রেগরির ইনকুইজিশন অভিযান- এই অভিযানে দক্ষিণ ফ্রান্সের জমিদার কাউন্ট তুলোস কে শাস্তি প্রদান করা হয়  

·    ** ১১৫২ সাল হতে ৪র্থ ইনোসেন্টের শাসনের সময় পর্যন্ত ইউরোপে অখ্রিস্টানদের নির্যাতন নীতি গৃহীত হয়- যারা খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করত না, তাদের কড়াইয়ের গরম পানিতে অথবা গরম তেলে অথবা জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হত

·   ** ১২২০ সালে রাজা ২য় ফ্রেডারিকের আইন জারি করা হয়। এই আইনে- ইউরোপের অখ্রিস্টানরা যদি তাদের ধর্মীয় বোধের জন্য অনুতপ্ত হত, তবে তাদের বন্দি করা হত। কিন্তু যদি অখ্রিস্টানরা অনুতপ্ত না হত, তাহলে তাদের আগুনে পোড়ানো হত



নারীর প্রতি ইউরোপের ধারণা
  •          ১৮০৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ আইনে পুরুষরা স্ত্রীকে বিক্রি করার অধিকার বলবৎ রেখেছিল এবং বিক্রয় মূল্য স্থির হয়েছিল ৬ পেন্স

    ·         ১৯০৮ সালে খ্রিস্টানরা এন্টিয়ক দখল করে ১০ হাজার মুসলিমদের হত্যা করে

    ·         ইটালীতে ১৯৩১ সালে ৫ শ পাউন্ডে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বিক্রি করে

    ·         ১ম বিশ্ব যুদ্ধের পর ফ্রান্সে পুরুষ শূন্যতায় “নৈশ্যকালীন অতিথি চাই” লিখা সাইবোর্ড লাগিয়ে রাখত ফ্রান্সের নারীর

  • ইউরোপের গোড়াবাদী গবেষণা বিরোধী শাসন

  •           ১৫৫৩ সালে ডাক্তার মাইকেল সার্ভেডুসের চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা বাইবেলের বাইরে গেলে তাকে আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়

    ·         ইতালির দার্শনিক জোরনাদোকে ১৬০০ সালে পুড়িয়ে মারা হয়

    ·         ১৬১৯ সালে বিজ্ঞানী লুসিলিও ভানিনির জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলা হয় এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হয়

    ·         মার্লোকে হত্যা করা হয়



Post a Comment

2 Comments

Asm Rumman said…
তথ্যবহুল লিখনী
Unknown said…
আপনার উপস্থাপনাগুলা সুন্দর ছিল। খুব ভালো একটা বইয়ের রিভিউ দিলেন। আপনাকে ধন্যবাদ