বাংলাদেশে জাতীয়
পর্যায়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন শিশু সংগঠন গুলোর মধ্যে জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি
আসর অন্যতম। এ শিশু সংগঠনে যেসকল সংগঠকেরা কাজ করে থাকে, তাদের প্রতিভা, মেধা, যোগ্যতা
ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মত ফুলকুঁড়ি আসর সারা দেশের বাছাইকৃত সংগঠকদের
নিয়ে গত ৯-১২ মার্চ ’২১ চারদিনব্যাপী ২৫তম ন্যাশনাল ক্যাম্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রতি
বছরের ন্যায় এ বছরও ন্যাশনাল ক্যাম্পের চমৎকার ক্যাম্প স্লোগান ছিল। ফুলকুঁড়ি আসরের
পাঁচটি আদর্শ- একতা, শিক্ষা, চরিত্র, স্বাস্থ্য ও সেবাকে কেন্দ্র করেই মূলত প্রতি বছর
ক্যাম্পের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এ বছরের ন্যাশনাল ক্যাম্পের স্লোগান ছিল
“সেবা জ্ঞানে বিশ্বজয়, করব ধরা শান্তিময়”।
২৫তম ন্যাশনাল
ক্যাম্পে ক্যাম্পচীফ ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক অলী ইব্রাহীম, ডেপুটি ক্যাম্পচীফ
ছিলেন আসরের সহকারী প্রধান পরিচালক আবরারুল হক এবং ফিল্ড ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।
৯ মার্চ থেকে
ক্যাম্প শুরু হলেও একদিন আগে অর্থাৎ ৮ মার্চে ক্যাম্প ভেন্যুতে ডেলিগেটদের রিপোর্টিং
ছিল। তাই সারাদেশের বাছাইকৃত ডেলিগেটরা ৮ তারিখ দুপুর থেকেই ক্যাম্পস্থল মুখর করতে
থাকে। সন্ধ্যায় ফিল্ড ইনচার্জ ক্যাম্পচীফের অনুমতি নিয়ে রেজিমেন্ট গঠনের কাজ সম্পন্ন
করে। স্বাধীনতার মাসে অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ
মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এর নামে ৪টি রেজিমেন্টের
নামকরণ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের রেজিমেন্টের নাম দেয়া হয় এম এ জি ওসমানী রেজিমেন্ট।
রেজিমেন্ট গঠনের পর থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরোপুরি ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।
ক্যাম্পের শুরুর
দিন ভোর হতে শেষ দিনের বিদায় পর্যন্ত সকল কার্যক্রম চলে শিডিউলভিত্তিক। ক্যাম্পে প্রতিদিন
ভোর হতে রাত পর্যন্ত বহুমুখী চমৎকার কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি সময় পরিকল্পিতভাবে কাজে
লাগানো হয়। ফিল্ড ইনচার্জের বাঁশির হুইসেলের তালে তালে ক্যাম্প চলতে থাকে প্রতিটি সেকেন্ড
হিসেব করে। একটি সেকেন্ডও যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সকলেরই থাকে তীক্ষ্ণ
সচেতনতা।
ভোরে ঘুম থেকে
জেগে উঠতে হয় ফিল্ড ইনচার্জের বাঁশির হুইসেলের মাধ্যমে। ঘুম থেকে উঠে প্রাকৃতিক কাজ
সম্পন্ন করার জন্য ওয়াশরুমের সামনের লম্বা সিরিয়াল অতিক্রম করে পবিত্রতা অর্জনের কাজ
শেষ করতে হয়। পবিত্রতা অর্জনের পর ফজরের নামাজ শেষ করে মাঠের কাজের জন্য চলে ত্বড়িৎগতিতে
ইউনিফর্মে সজ্জিত হওয়ার প্রস্তুতি। এরপর রেজিমেন্টের সাথে সারিবদ্ধ হয়ে সুন্দর সুন্দর
স্লোগানে ক্যাম্প ভেন্যু মুখরিত করে মাঠের কাজে অংশগ্রহণ করতে মাঠে চলে যেতে হয়। ক্যাম্পে
মাঠের কাজ প্রতিদিন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হয়। মাঠে সকল ডেলিগেটদের প্রথমে ওয়ার্মআপ
করানো হয় এবং পরে ১০টি পিটি শেখানো হয়। প্রতিদিন ডেলিগেটদের মাঠের কাজ শেখানো হয়। এছাড়াও
মাঠে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
মাঠের কাজের সময়ে
মাঠেই নাস্তা হিসেবে গরম ডিম ও রুটি দেয়া হয়। সে গরম ডিমের নাস্তা যে কী মজা! তা যারা
ক্যাম্পে থাকে শুধু তারাই বুঝতে পারে। মাঠে ডিমের খোসা বা অন্য কোন ময়লা ফেলে রাখা
যায় না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশের প্রতি সকলকে যত্নশীল হতে ক্যাম্পে জোর প্রচেষ্টা
চালানো হয়। ক্যাম্পে ডিম রুটি নাস্তার দেওয়ার সময়ে খাদ্য বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ
ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকদের সদা তৎপর থাকতে হয়। মাঠে নাস্তার পর্ব
শেষ হলেও মাঠের কাজের নির্দিষ্ট বিষয়গুলো যতক্ষণ না শেষ হয় ততক্ষণ চলে ফিল্ড ইনচার্জের
মাঠে দাপাদাপি। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট মাঠের কাজ শেষ হলে সকালের জন্য মাঠের কাজের বিরতি
ঘোষণা করা হয়।
ক্যাম্পের প্রতিটি
কাজ শৃঙ্খলার সাথে সম্পন্ন করতে হয়। ক্যাম্প স্থল প্রতিটি ক্ষণ যেন স্যালুটে স্যালুটে
পূর্ণ হয়ে থাকে। ক্যাম্প মানে স্যালুট আর স্যালুট।
নতুন ডেলিগেটদের সঠিক ও সুন্দরভাবে স্যালুট শিখতে কিছুটা সময় লাগে। কয়েকবার তাদের ধীরস্থির
ভাবে স্যালুট দেখিয়ে তা শেখাতে হয়। নতুনদের হরেক রকম স্যালুট যে কত চমৎকার বিনোদন হতে
পারে, তা ক্যাম্পে গেলেই কেবল উপলব্ধি করা যায়।
মাঠের কাজ শেষে
সকালের মনোরম খাবার রেজিমেন্টে গ্রহণের পর আবার দ্রুত সময়ে হল রুমে চলে আসতে হয়। হলরুমে
জীবন ঘনিষ্ঠ ও সংগঠন সম্পর্কিত আলোচনা চলতে থাকে কিছু সময়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ডেলিগেটদের
জন্য হরেক রকম নাস্তা থাকে। ডেলিগেটরা যেন মনোযোগের সাথে আলোচনা শুনেতে ও নোট করতে
পারে সেজন্য একটু পর পর নাস্তা দেয়া হয়। ক্যাম্পের নাস্তাতে একটু পর পর যেটা বেশি পাওয়া
যায় তা হলো চা। ক্যাম্পের চায়ে অন্য রকম স্বাদ আছে। চায়ের সাথে টা-ও দেয়া হয়। তবে ক্যাম্পে
পরিবেশিত নাস্তার মধ্যে ক্লান্তি ও ঝিমুনি দূর করার জন্য চা-ই সেরা।
সকালের খাবারের
পর থেকে একটানা আলোচনা কারো ভালো লাগার কথা না। তাই তো ক্যাম্পের শিডিউর সাজানো হয়
বৈচিত্রময় কর্মসূচি দিয়ে। কিছুক্ষণ আলোচনার পর ডেলিগেটদের নিয়ে শুরু হয় মাঠে অন্যরকম
দৌড়ঝাপ। কখনো মাঠে গিয়ে উন্মুক্ত বাতাসে গোল হয়ে বসে চলে ওয়ার্কশপ। এই ওয়ার্কশপগুলোতে
হাতে কলমে অনেকগুলো বিষয় শিখিয়ে ডেলিগেটদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়। এ সময়ে মাঠে শুধু
কর্মশালাই চলে না, কখনো পুরো মাঠ চষে বেড়ানোর জন্য চলে হাইকিং বা ফুলকুঁড়ি গেমসের মজার
মজার সব খেলা। মাঝে মাঝে থাকে চ্যালেঞ্জিং সব গেমস। ক্যাম্পের এ সময়টাতে ডেলিগেটরা
চমৎকার কর্মচঞ্চল ও প্রাণবন্ত হয়ে থাকে। সকলেই মজার সব খেলাধুলায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ
করে। খেলাধুলার মাধ্যমে ডেলিগেটরা মাঠের কাজের ক্লান্তি ও আলোচনার গাম্ভীর্য হতে কিছুটা
অন্যমাত্রায় নিজেদের আবিষ্কার করে। ক্লান্ত শ্রান্ত প্রাণে আবার চলে আসে কর্মোদ্দমের
নব জোয়ার। এ সময়ে খাদ্য বিভাগের পক্ষ হতে মাঠের কর্মতৎপরতায় দেহের ক্লান্তি দূর করতে
নিয়ে আসা হয় মন জুড়ানো ঠাণ্ডা শরবত। আহ! প্রচণ্ড ক্লান্তিতে সে শরবত যে অমৃত লাগে!
প্রচণ্ড রোদে শরবত পাওয়ার সে অনুভূতি ওই সময় ছাড়া অনুভব করা হয়তো সম্ভব না।
মাঠের দাপাদাপির
পর গোসলের বিরতি দেয়া হয়। সকলে মিলে একসাথে অল্প পানি দিয়ে রোদের সময়ে গাছের ছায়ায়
মাঠে গোসল করার অনুভূতি অন্য রকম। গোসলের পর রেজিমেন্টে নামায আদায় করার সাথে সাথে
দুপুরের চমৎকার সব রেসিপির খাবার পরিবেশন করা হয়। দুপুরের খাবারের পরে চলে নিয়মিত রেজিমেন্ট
পরিদর্শন। এপর্বে সকলেই ব্যস্ত থাকে স্ব স্ব রেজিমেন্ট গোছানো ও পরিপাটি করার কাজে।
রেজিমেন্ট পরিদর্শনের
পর হলরুমে আলোচনা, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। হলরুমের পর্ব শেষ হলে আসরের
নামাযের বিরতির পর আবার বিকেল বেলা মাঠের কাজে সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত হতে হয়। এ সময়ে
মাঠে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের জন্য সকলকে প্রস্তুত করা হয়। কমান্ডার, পাইলট, ড্রাম বাদক
নির্বাচন করে তাদের আলাদা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রতিদিন সকল রেজিমেন্টের নিয়মানুবর্তিতা,
সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, দলীয় মাঠের কাজ ও রেজিমেন্ট পরিদর্শনের
উপর বিচার বিশ্লেষণ করে শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্ট ঘোষণা করা হয়। সারা দিনের কর্মসূচিতে যাদের
রেজিমেন্ট শ্রেষ্ঠ হয়, তাদের কঠোর পরিশ্রম যেন আনন্দে নিমিষেই দূর হয়ে যায়। শ্রেষ্ঠ
রেজিমেন্টের নাম ঘোষণার সাথে সাথে আনন্দে লাফিয়ে উঠতে কেউ ভুল করে বলে মনে হয় না। শ্রেষ্ঠ
রেজিমেন্টের প্রত্যেক ডেলিগেটদের তখন আনন্দঘন মনোভাবটা এমন হয় যে, সারা দিনের কঠোর
শৃঙ্খলায় আমরা অর্জন করলাম শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্টের খেতাব। ক্যাম্পের অন্যান্য দিনও আমাদের
রেজিমেন্টের এই শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্যদিকে অন্যান্য রেজিমেন্ট শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্টকে
ফুলকুঁড়ি তালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানায় এবং তাদের প্রত্যেকে আগামীদিন শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্ট
হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকে।
সকালে মাঠে পতাকা
উত্তোলন করা হয় এবং বিকেলে মাঠে পতাকা নামানো হয়ে থাকে। শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্টের দলনেতার
কাছে পরবর্তী দিনের শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্ট ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্টের পতাকা
থাকে। তাদের সকল দলীয় কাজে এই পতাকা প্রদর্শন করে থাকে। এ যেন তাদের সারাদিন শ্রেষ্ঠ
রেজিমেন্টের নিদর্শন। সে এক অন্য রকম ভালো লাগা। ২৫তম ন্যাশনাল ক্যাম্পে প্রথম দিন
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান রেজিমেন্ট, দ্বিতীয় দিন বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং
তৃতীয় দিন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান রেজিমেন্ট শ্রেষ্ঠ রেজিমেন্ট হয়েছে।
বিকেলে মাঠের
কাজ শেষে নামাযের বিরতির পর আবারও রেজিমেন্ট বা হলরুমে চলে মনমুগ্ধকর আলোচনা। আলোচনার
ফাঁকে নাস্তা, চা, বিস্কুট, ফল পরিবেশিত হতে থাকে। এশার নামায ও রাতের খাবারের বিরতির
পর ক্যাম্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যসূচি শুরু হয়। এ সময়ের আকর্ষণীয় কর্মসূচি হচ্ছে
আসর অনুষ্ঠান। আসর অনুষ্ঠান চলে ঘুমের বিরতির পূর্ব পর্যন্ত। আসর অনুষ্ঠানে ডেলিগেটদের
অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় চমৎকার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। গান, অভিনয়, আবৃত্তি, কৌতুক, রম্য
নাট্য ইত্যাদি আসর অনুষ্ঠানে বিনোদনের মাত্রায় আনে বৈচিত্র্য। আসর অনুষ্ঠানের পর ঘুমের
বিরতিতে ডেলিগেদের ক্লান্ত দেহ বিছানায় সপে দিতে কেউ দেরি করে না। ঘুমের রাজ্যে চলে
যাবার মাধ্যমে রাতের কর্মসূচি শেষ হয়।
ক্যাম্পের আকর্ষণীয়
ইভেন্টগুলোর মধ্যে ডেলেগেটদের জন্য প্রতিযোগিতার ইভেন্টটি চমৎকার ভাবে পরিচালিত হয়।
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাই যেন তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চায়। টান টান প্রতিদ্বন্ধিতার
মাধ্যমে প্রতিযোগিতা শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। ক্বিরাত, অভিনয়, গান, ফুলকুঁড়ি গেমস, কুইজ,
মেধা যাচাই, বিতর্ক প্রতিযোগিতা আকর্ষণীয় ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্যাম্পে ডেলিগেটদের
নিয়ে অনেকগুলো আকর্ষণীয় খেলা খেলানো হয়, যেমন : রিংপাসিং, বল পাসিং, হ্যান্ডকারচীফ,
নেতা বলেছেন, লিডারশিপ গেমস, সংখ্যার খেলা, সেভেন আপ, মিরর গেমস, খাওয়ার খেলা, বেলুন
দৌড়, বেলুন ফুটানো, পাখি উড়ে, হাম্বা দৌড়, বেলুন স্ট্যাচু ইত্যাদি।
২৫তম ন্যাশনাল
ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে মাঠের কাজে শ্রেষ্ঠ হয়ে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব
দেয় রাজশাহী রংধনু শাখার অগ্রপথিক খালিদ সাইফুল্লাহ। ক্যাম্পে শ্রেষ্ঠ ডেলিগেট মনোনীত
হয় ঢাকা মহানগরী ঝিঙেফুল শাখার অগ্রপথিক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বিন মোতাহার।
ক্যাম্পের শেষ
দিন সকল প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরপর ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তির
দিকে এগুতে থাকে। ক্যাম্পের একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্যাম্প অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দেয়া
হয়। অনুভূতি প্রকাশের সময়ে হলরুমে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ক্যাম্প অনুভূতি শেষে ফিল্ড
ইনচার্জ, ডেপুটি ক্যাম্পচীফ ও ক্যাম্পচীফ সংক্ষেপে কথা বলেন। ক্যাম্প হতে শেখা বিষয়
গুলো প্রত্যেকের ব্যক্তি জীবন ও স্ব স্ব শাখায় বাস্তবায়ন করার জন্য ক্যাম্পচীফ সকলের
প্রতি আহবান জানিয়ে ২৫তম ন্যাশনাল ক্যাম্পের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ক্যাম্পে কাটানো
সময়ের সামান্য কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব। জীবন গঠন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পের স্মৃতিময়
সময় জীবনে কাটানো শ্রেষ্ঠ সময়ের অন্যতম।
0 Comments